কসবায় শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১১টায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি’র পিতা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সাবেক সদস্য, কসবা-আখাউড়ার দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য, স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌশলী এডভোকেট সিরাজুল হক বাচ্চু মিয়ার ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি যোগদান করেন। এসময় তিনি তার পিতার জন্য উপস্থিত সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করেন।
কসবা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রুস্তম খা এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাওসার ভুইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী মো. আজহারুল ইসলাম, রুহুল আমিন ভূইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আবদুল আজিজ, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. এমরান উদ্দিন, জেলা পরিষদের মহিলা সদস্য রুমানুল ফেরদৌসি, কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, উপজেলা ছাত্র লীগ আহবায়ক আফজাল হোসেন প্রমুখ। বক্তব্য রাখেন খাড়েরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহাম্মদ খান ও গোপীনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবদুল কাদির। এসময় কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কমীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন কসবা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. আবদুল হান্নান।
উল্লেখ্য মরহুম সিরাজুল হক যিনি এলাকায় বাচ্চু মিয়া নামে পরিচিত তিনি ১৯২৫ সালের ১ আগস্ট তৎকালীন ব্রিটিশ-ভারতের কসবার পানিয়ারূপ গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম নুরুল হুদা ও মাতার নাম জাহেদা খানম। তিনি ছিলেন দুই পুত্র ও এক কন্যার জনক। উপমহাদেশের এই খ্যাতিমান আইনজীবী ২০০২ সালের ২৮ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন।